মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন

বাঘায় হুমকির মুখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাজার. আর ২৫ গজ ভাঙলেই বিলিন হয়ে যাবে নদী গর্ভে !

আব্দুল হানিফ মিঞা,বাঘা(রাজশাহী) :
গত ১৪ বছরে ভাঙনের কবলে পড়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বাজারটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ২বার। এবারো ভাঙনের কবলে পড়েছে সেই চকরাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চকরাজাপুর বাজার। আর ২৫ গজ ভাঙলেই নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে বিদ্যালয় ও বাজারটি। পদ্মার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে,রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের- গোকুলপুর,জোতকাদিরপুর, কিশোরপুর, মালিয়ানদহ,চকরাজাপুর ইউনিয়নের- দিয়ারকাদিরপুর, টিকটিকিপাড়া, চকরাজাপুর, কালিদাসখালি ও লক্ষীনগর এলাকায়।
২ সপ্তাহে ১০ কিলেমিটার ভাঙনে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে, ৯টি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমিসহ গাছপালা, পিয়ারা বাগান, পাট, আখসহ নানা প্রকার সবজি ক্ষেত। ভাঙনে বাড়ি ঘর বিলিন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন পদ্মা পাড়ের ৪ গ্রামের মানুষ।
এবার ভাঙনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন- পদ্মার তীরবর্তী গোকুলপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম, আজিবার মালিথা, আস্তুল মালিথা, আব্দুল মতিন মালিথা, জোত কাদিরপুর গ্রামের মুনছুর মালিথা, কুদরত আলী, শমসের আলী, পাকুড়িয়ার হাফিজুর রহমান, নয়ন পীর, আসাদুজ্জামান, চকরাজাপুর ইউনিয়নের- জামাল উদ্দিন, শামসুদ্দিন রেন্টু, আজাদ শেখ, গোলাম মোস্তফা, মনছুর শেখ ও বাবলু দেওয়ানসহ অর্ধসহ¯্রাধিক কুষক।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার জানান,১৯৯৮ সালে ভাঙনের কবলে পড়ে বিদ্যালয় ও বাজার। সে বছর সরিয়ে নেওয়ার পর, ২০১২ সালে ভাঙনের কবলে পড়ে ওই বিদ্যালয় ও বাজার। কালিদাশখালি মৌজায় সরিয়ে নেওয়ার পর এবার ভাঙনের কবলে পড়েছে ছাদ বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের পাঁকা ভবন ও বাজারটি। ইতিমধ্যে টিনসেট কমনরুম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল আযম ও ফকরুল হাসান বাবলু জানান, গত তিন দশকে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে- নদীতে বিলীন হয়ে যায় হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি, বসত ভিটা,রাস্তা-ঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্টান। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নদী ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে সর্বহারা হয়েছে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার। এই সব পরিবারের সব কিছু কেড়ে নিয়েছে পদ্মা। এদের অনেকেই বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বসত বাড়ী গড়ে তুলে বসবাস করছেন।
বৃহসপতিবার (২-৮-১৮) ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা জিন্নাত আলী ও উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহিন রেজা। তারা বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে বিদ্যালয় ও ভবনটি সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও ভাঙন সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com